জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গভীর রাতে উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে শিক্ষার্থীদের মারধর

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার ভয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, সেখানে ঢুকে তাঁদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে।

পরে বিভিন্ন হল থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

এর আগে রাত ১২টার পর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়। এতে বহিরাগতসহ ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতা–কর্মী অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।

দফায় দফায় হামলা, সংঘর্ষ, গুলি

শিক্ষার্থীরা বলেন, বেশির ভাগ হামলাকারীর মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। এ সময় দুটি পেট্রলবোমা ছোড়া হয়। হামলা থেকে বাঁচতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে আশ্রয় নেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এ সময় তাঁদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।

ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ

শিক্ষার্থীরা বলছেন, রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে রাস্তায় চলে যান। পরে রাত পৌনে দুইটার দিকে ফটক ভেঙে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা আবার উপাচার্যের বাসভবন চত্বরে ঢোকেন। এ সময় তাঁরা বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা ছোড়েন। ভাঙচুর করেন। এরপর আন্দোলনকারীদের মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এ সময় উপাচার্য বাসভবনের ভেতরেই ছিলেন।

ছাত্রলীগের হামলার বিচারের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ

পরে রাত সোয়া দুইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেন তাঁরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গেও তাঁদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পুলিশ পরে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের শুরু যেভাবে

গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় তাঁদের ওপর হামলা হয়। এতে অর্ধশতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হন।