রাজধানীর সড়কে ফিরছে সিগন্যাল বাতি

সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আবারও সিগন্যাল বাতিতে ফিরছে রাজধানী ঢাকা। ট্রাফিক পুলিশের হিমশিম অবস্থার মধ্যে সড়ক ব্যবস্থাপনায়, ৭০০ শিক্ষার্থীকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এবার দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি সিগন্যাল বাতি বসানো হচ্ছে তিলোত্তমা নগরীর ২২টি মোড়ে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে তিন মাসে শেষ হবে প্রকল্পের কাজ। তবে দ্রুত পাঁচ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
জানা গেছে, প্রথম ধাপে, সিগন্যাল বাতি হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালের মোড়, বাংলামটর, সোনারগাঁ ও ফার্মগেট মোড়ে বসবে। পরের ধাপে শিক্ষাভবন সংলগ্ন সড়ক থেকে বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট, মহাখালী, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর হয়ে আবদুল্লাহপুর মোড় পর্যন্ত স্থাপন করা হবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করবে এসব বাতি। এ ব্যবস্থা চালু হলে, সড়কে শৃঙ্খলার পাশাপাশি যানজট কমাতে ভূমিকা রাখবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েট অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘এইটার সুবিধাটা হচ্ছে, যেহেতু পুরো উন্নয়নটা আমাদের হাতে ধরেই হবে, এটা সম্পর্কে জ্ঞান-ধ্যানটা আমাদের থাকবে। এবং ধীরে ধীরে আপগ্রেডেশন করার যে সুযোগ সেটাও থাকবে। এখন আমরা একদম বেসিক লেভেলে সিগন্যাল সিস্টেম ডেভেলপ করছি। সেখানে আমাদের যে কন্ট্রোল বক্সের কথা বলছি, সেটা আসলে ডুয়েল মুডে অপারেট হবে।’
তবে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সিগন্যাল বাতির চেয়েও বেশি জরুরি ৫ দফা সুপারিশ বাস্তবায়ন। সুপারিশ করা ৫ দফাগুলো হলো- সড়ক থেকে অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদ, পুলিশের কার্যক্রম আগের অবস্থায় ফেরানো, মোড়ের ৫০-১০০ মিটারে অবৈধ পার্কিং ও যাত্রী ওঠা নামা বন্ধ, প্রতিটি সিগন্যালে টাইমিং বাস্তবসম্মত এবং ভ্রাম্যমাণ ট্রাফিক পুলিশ থাকা।
অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, ‘একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে সেটা হলো, সিগন্যালটা আমাদের কোনো প্যানাসিয়া না। এটা সব রোগের ওষুধ না। আমাদের সড়কের অনেক ধরনের রোগ হয়ে গেছে। সে কারণে শুধু সিগন্যাল দিয়ে সড়কে যানজট কমে যাবে এইটা ভাবার সুযোগ নাই। সিগন্যাল অপারেশনে যাওয়ার পাশাপাশি, আমাদের যে পাঁচ দফা সুপারিশ আছে সেটাও একই সাথে কার্যকর করতে হবে।’
রাজধানীতে কর্মমুখী মানুষের সংখ্যা বাড়লেও, বাড়েনি গণপরিবহন সুবিধা। বর্তমানে এ খাতে ১০ শতাংশ যাত্রীর চলাচল। গণপরিবহনে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ যাত্রীর সেবা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন পরিবহন বিশেষজ্ঞরা।