
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক এস আলমের প্রধান সাইফুল আলম মাসুদ ও তাঁর ছয় ভাই। প্রায় এক লাখ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো নতুন করে ব্যবসা করতে না চাওয়া বিপাকে পড়েছে গ্রুপটি। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে চিনি, ভোজ্য তেল ও ইস্পাত কারখানার উৎপাদন। ঠিকমতো বেতন পাচ্ছে না কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের সাত ব্যাংকের মালিকানায় এস আলম গ্রুপের প্রভাব ছিল স্পষ্ট। গ্রুপটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে পলাতক রয়েছেন এস আলমের প্রধান সাইফুল আলম মাসুদ ও তাঁর ছয় ভাই।
এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে এস আলম ভেজিটেবল অয়েল ও এস আলম রিফাইন্ড সুগার লিমিটেড। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন শ্রমিকেরা।
স্থানীয়রা বলছেন, এস আলম রিফাইন্ড সুগার লিমিটেড বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে অনেক শ্রমিকেরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকগুলো এস আলম গ্রুপের সঙ্গে নতুন করে ব্যবসায় আগ্রহী নয়। কাঁচামাল আমদানির ঋণপত্র খুলতে অনীহা রয়েছে অনেক ব্যাংকের। এ অবস্থায় ঠিকমতো বেতন পাচ্ছে না কর্মীরা।
এস আলম গ্রুপের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে। কারণ ব্যাংকগুলো নতুন করে ব্যবসা করতে চাচ্ছে না। বিভিন্নভাবে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে টাকা সংগ্রহ করে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে।
গ্রুপটির চিনি ও ভোজ্যতেলের উৎপাদন বন্ধের কারণে বাজারে যাতে নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
চাক্তাই খাতুনগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, গত ১৫ দিনে চিনির দাম মণপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দামও এই এক দেড় মাসে বেড়েছে অনেক।
এস আলম গ্রুপের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, দুই ডজনের বেশি কোম্পানি রয়েছে তাদের। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করে প্রায় দুই লাখ কর্মী।