খুলে দেয়া হয়েছে কাপ্তাই বাঁধ: প্রতি সেকেন্ডে নিষ্কাশন হচ্ছে ৯ হাজার কিউসেক পানি 

রাঙ্গামাটির  কাপ্তাই বাধেঁর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করায় দেশের একমাত্র পানি  বিদ্যুৎ কেন্দ্র  কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের ১৬টি জলগেইট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে।  এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলি নদীতে  নিষ্কাশন হচ্ছে।

রবিবার (২৫ আগস্ট) সকাল ৮ টায় স্পিলওয়ের ১৬টি জলগেইট একযোগে খুলে দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই পানি  বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী  ড. এ টি এম আব্দুজ্জাহের।

তিনি জানান, সপ্তাহ ব্যাপী টানা ভারি বর্ষণ ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কাপ্তাই লেকের পানি গত কয়েকদিন ধরে দ্রæত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। শনিবার রাতে কাপ্তাই লেকের পানি ১০৮ ফুট মীন সি লেভেল ক্রস করেছে। রবিবার  সকালে কাপ্তাই লেকের পানির লেভেল ১০৮.৩২ ফুট মীন সি লেভেল হওয়ায় অর্থাৎ বিপদ সীমা ক্রস করায় লেক ব্যবস্থা কমিটির পরামর্শে আমরা
রবিবার  সকাল ৮ টায় কাপ্তাই বাধেঁর স্পীল ওয়ের ১৬টি জলকপাট দিয়ে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দিয়েছি। এতে প্রতি সেকেন্ডে ১৬টি  গেইট দিয়ে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হয়ে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে।

কতৃপক্ষ কাপ্তাই বাঁধকে ঝুকি মুক্ত রাখতে  এই ব্যবসস্থা নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রটি জানায়।চলতি বছর এই প্রথম কাপ্তাই বাধেঁর স্পিল ওয়ে খুলে দেয়া হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদে সর্বোচ্চ পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল ।

সূত্রমতে, জলবিদ্যুত কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন পুরোদমে চলছে। এই ইউনিট গুলো দিয়ে বর্তমানে প্রতি সেকেন্ড আরও ৩৩ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে অবস্থিত দেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে দৈনিক সর্বমোট ২৩০ হতে ২৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়, যা জাতীয় গ্রিডে সঞ্চালন করা হয়।

লেকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের  ৫টি ইউনিট এক যোগে চালু হওয়ায় সেখানে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।