ইরানের তেল অবকাঠামোয় ইসরায়েল হামলা চালালে পরিণতি কী হবে

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে গত অক্টোবর রাতে অন্তত ১৮০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ইরান। দেশটি দাবি করেছে, তাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের ৮০ শতাংশ ইসরায়েলে আঘাত হেনেছে। ইরানের এই হামলার জেরে কড়া হুঁশিয়ার বার্তা দেয় ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইরানকে এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে। 

তবে ইরানে কী ধরনের হামলা চালিয়ে ইসরায়েল প্রতিশোধ নেবে- তা নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে। এরই মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন যে তিনি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েল হামলা চালাক তাতে সমর্থন দেবেন না। তবে তিনি বলেছেন, ইরানের তেল স্থাপনায় সম্ভাব্য ইসরায়েলি আক্রমণ নিয়ে আলোচনা চলছে।

এদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইসরায়েলের উচিৎ ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো। এখন প্রশ্ন উঠেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল স্থাপনায় হামলা চালায় তাহলে বিশ্ব বাজারে এর কী প্রভাব পড়বে।

গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলসহ অন্যান্য জায়গায় তেল উৎপাদনের পরিমাণ বাড়ায় বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বৈচিত্র এসেছে। এর মানে হলো, তেলের বাজার এখন মধ্যপ্রাচ্যের ওপর কম নির্ভরশীল- যাতে ইরান বিঘ্নিত ঘটাতে পারে।

এদিকে সিএনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপেকের সদস্য ইরান বৈশ্বিক তেলের বাজারে অন্যতম খেলোয়াড়। দেশটি প্রতিদিন প্রায় ৩২ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন করে যা বৈশ্বিক উৎপাদনের ৩ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশটির চলতি বছর তেল রফতানি বিগত বহু বছরের তুলনায় দৈনিক সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন ব্যারেলের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তেল পরিশোধনকারী চাইনিজ কোম্পানিগুলো ইরানের অধিকাংশ সরবরাহ কিনে নেয়।

তবে এনার্জি অ্যাসপেক্টস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা অমৃতা সেন বলেন, তাত্ত্বিকভাবে আমরা যদি ইরানে উৎপাদিত তেলের সব সরবরাহ হারিয়ে ফেলি—ওপেক প্লাসের সেই ধাক্কা সামলানোর যথেষ্ট অতিরিক্ত সক্ষমতা আছে।