
মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফের হোয়াইট হাউজের মসনদে ফিরছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নভেম্বরের শুরুতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয় পেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, তাঁর বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন কমলা হ্যারিস। নির্বাচনের আগে এ দুই প্রার্থীর প্রচারণাতেই শোবিজ তারকাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্য করার মতো। কমলার প্রচারণায় অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন সংগীত তারকা বিয়ন্সে। সম্প্রতি গুঞ্জন উঠে যে, প্রচারণায় অংশ নেওয়ার জন্য বিয়ন্সেকে ১০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছিলেন কমলা! তবে এই অভিযোগকে ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন গায়িকার মা টিনা নোলস। পরিবারের প্রধান হয়ে মুখ খুলেছেন তিনি।
অক্টোবরে কমলা হ্যারিসের হিউস্টন সমাবেশে হাজির হতে ‘ব্রেক মাই সোল’ গায়িকাকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল বলে যে দাবি উঠেছে, সেটি স্রেফ গুজব বলে দাবি করেছেন টিনা। একটি পডকাস্ট অ্যাকাউন্টে প্রচার করা পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘ইনস্টাগ্রাম এটিকে ফেইক নিউজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একে মিথ্যা তথ্য বলা হয়। দুঃখজনকভাবে, স্বচ্ছতার অভাবে অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে এটি এখনও রেখে দেওয়া হয়েছে।’
যোগ করে তিনি বলেন, ‘মিথ্যা কথা যে, হিউস্টনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের জন্য একটি সমাবেশে বক্তৃতা দিতে বিয়ন্সকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল। সত্যটা হলো ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সমাবেশে বক্তৃতা করার জন্য বিয়ন্সে এক পয়সাও নেননি। বরং তার টিম ও নিজের বিমান খরচ সে নিজেই দিয়েছে।’
নোলস দাবি করেছেন, এই গুজব কেবল বিয়ন্সের জন্যই ক্ষতিকর নয়, হ্যারিসের জন্যও; যিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে ২০২৪ সালের নির্বাচনে হেরেছেন। তিনি বলেন, ‘তারা কেবল মিথ্যা বলছে না এবং বিয়ন্সের নামকে অসম্মান করছে না, তারা আমাদের ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাকে আরও অসম্মান করার চেষ্টা করছে!’
সবশেষে গণমাধ্যমকেও একহাত নিয়েছেন বিয়ন্সের মা। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এই মিথ্যা ও গুজব বন্ধ হয় কখন? অবশ্যই আপনি তা খবরে দেখতে পাবেন না!’
প্রসঙ্গত, কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তাঁর পাশে ছিলেন বিয়ন্সে। যদিও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে ডেমোক্রেটরা হেরে যায়।