
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “হামাস গাজায় যুদ্ধবিরতি চায় না, কারণ তারা জানে যুদ্ধবিরতিতে গেলে ইসরায়েলি জিম্মিদের ছেড়ে দিতে হবে। এরপর তাদের কঠিন পরিণতির মুখোমুখি হতে হতে পারে।”
ট্রাম্পের এই বক্তব্যে মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল গাজা যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানে আগ্রহী নয়, বরং কেবলমাত্র জিম্মিদের মুক্ত করতে একটি স্বল্পমেয়াদি যুদ্ধবিরতির কৌশল গ্রহণ করছে।
ফিলিস্তিনে মানবিক সংকট চরমে
এই মুহূর্তে গাজার মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ। জাতিসংঘের খাদ্য সহায়তা সংস্থা (WFP) জানিয়েছে, গাজায় প্রতি তিনজনে একজন অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। শুধু গত ২৪ ঘণ্টায় অনাহারে মৃত্যু হয়েছে ৯ জন ফিলিস্তিনির।
এছাড়া ৯০ হাজার নারী ও শিশুর জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন, যা তারা পাচ্ছেন না অবরুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে। জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, গাজায় পুষ্টিহীনতা মারাত্মক হারে বাড়ছে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
ইসরায়েলের বাধা ও দোষ চাপানোর কৌশল
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর অভিযোগ, ইসরায়েল মানবিক সহায়তা প্রবেশে বাধা দিচ্ছে, যার ফলে খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সেবা ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। অথচ এসব সংকটের দায় হামাসের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে ইসরায়েলি প্রশাসন।
বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রক্রিয়ায় হামাসকে ‘অমানবিক’ প্রমাণ করে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি পেতে চাইছে ইসরায়েল, একইসঙ্গে ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য দাবিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।