আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেল এর সভাপতিত্বে মোহাম্মদ আলী ও তৈমুর আহমেদ এর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

মোহাম্মদ আলী স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে ১৭ ই ডিসেম্বর বিকাল ৪ ঘটিকায় নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মোহাম্মদ আলীর সপ্তম মৃত্যু বার্ষিকী ও তৈমুর আহমেদ এর চতুর্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেল এর সভাপতিত্বে ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ আলীর ৭ম মৃত্যু বার্ষিকী ও নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অগ্র সৈনিক, নগর ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তৈমুর আহমেদ এর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্টিত হয়। উক্ত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুচ ছাত্তার, মো: হারুন জামান ,উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন সিকদার, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, ইষ্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির ভাইস চেয়ারম্যান তরুণ বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমান তুর্য, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আলম চৌধুরী। স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন এবং অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন রশিদের যৌথ সঞ্চালনায়-

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন- মরহুম মোহাম্মদ আলী ছিলেন রাজনীতির আইকন। তিনি খুব আদর্শ রাজনীতি করতেন। তিনি খুব সৎ এবং মেধাবী ছিলেন। আমরা একসাথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগের কাছে অনেক লাঞ্ছিত হয়েছি । তাহার রাজনীতি খুব শিক্ষনীয় এবং তাহার স্মৃতি কিছুতেই ভুলানোর নয় বলেই আবেগে কেঁদে ফেলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

বিশেষ অথিতির বক্তব্যে তরুনদের আইকন বিএনপি নেতা সাঈদ আল নোমান তূর্য বলেন- মরহুম মোহাম্মদ আলী আমার বাবার সাথে রাজনীতি করতেন বিধায় আমাদের বাসা বাড়িতে আসা যাওয়াতে আমার সাথে মরহুম মোহাম্মদ আলী এবং তৈমুর আহমদের সাথে খুব ঘনিষ্ঠতা ছিল। আমার অবসর সময়ে তাহাদের সাথে আমার রাজনৈতিক আলোচনা হতো। দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নেওয়ার যা যা গুণাবলী দরকার সব গুণাবলী মরহুম মোহাম্মদ আলীর ছিল। রাজনীতি করতে হলে রাজনীতির চর্চা করতে হবে। এই কথা বিবেচনা করে আমি আমার ইউনিভার্সিটি ইষ্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে রাজনীতির চর্চার একটি ক্লাস খোলেছি যাতে করে একজন রাজনীতিবিদ সু-দক্ষভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে দলের ও দেশের উন্নতি করতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে আহমেদ উল আলম চৌধুরী রাসেল বলেন- আমাদের মূল কামনা হল মরহুমদের যেন আল্লাহ পাক জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন। আমরা স্মরণ সভা আয়োজন করার মূল উদ্দেশ্য হলো যাতে আমাদের প্রবীণ নেতাদের থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন রাজনীতিবিদরা আদর্শ রাজনীতি করার আগ্রহী হয় এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও যেন আমাদেরকে ভবিষ্যতে স্মরণ করে। তিনি বলেন আমরা যদি আমাদের প্রবীণ রাজনীতিবিদদের রাজনৈতিক আদর্শ ও স্মৃতি নিয়ে স্মরণ করি আমাদের মাঝে একটা সৈাহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম আমাদেরকে ভবিষ্যতে স্মরণ করবে। তিনি আরো বলেন বর্তমানে শুনেছি এবং দেখতেছি বিগত স্বৈরাচারী সরকারের একজন পিওন থেকে শুরু করে একজন প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং কয়েকটি বাড়ি গাড়ির মালিক হয়েছে। সেজন্য তাদেরকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে। এখান থেকে আমাদেরকে শিক্ষা নিতে হবে। তবে আমাদেরকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদের পদ পদবী থাকা সত্ত্বেও আমরা দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতাম। সে কারণে আমাদেরকে পালাতে হয়নি। আমরা বুক ফুলিয়ে রাজনীতি করতেছি। ভবিষ্যতেও আমাদেরকে নীতি-নৈতিকতার রাজনীতির মাধ্যমে দলকে এগিয়ে নিতে হবে এবং আমাদের বিজয়কে নিশ্চিত করে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে হবে।

উক্ত স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য জনাব খোরশেদ আলম, বিএনপি নেতা কলিম উদ্দিন, প্রশান্ত কুমার পান্ডে, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো: আলমগীর, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতা জসিম উদ্দিন সাগর, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, অ্যাডভোকেট দিদারুল আলম টিপু, সালাউদ্দিন কাদের মানিক, মো ইমন, মিজানুর রহমান, সাতকানিয়া থানা যুবদলের আহবায়ক মো: ইলিয়াস, নগর ছাত্রদল নেতা মোঃ আলী, মোঃ এয়াসিন আরাফাত, কামরুল হাসান আকাশ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।