রোপণের মাত্র দেড় মাসেই সৌন্দর্য ছড়াল লিলিয়াম

খাগড়াছড়িতে রোপণের মাত্র দেড় মাসেই সৌন্দর্য ছড়াল লিলিয়াম। প্রসারিত পাপড়ি, মন মাতানো রঙ আর সুঘ্রাণের কারণে চাহিদার শীর্ষে এই ফুল। দেশে ব্যাপক চাহিদা থাকায় সাধারণত শীতপ্রধান দেশ থেকে লিলিয়াম আমদানি করা হয়। শীতপ্রধান দেশগুলোতে সাদা, হলুদ, কমলা, গোলাপি, লাল ও বেগুনি রঙের লিলিয়াম ফুল দেখা যায়। সম্প্রতি এই ফুলের চাষ হয়েছে খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ সড়কের ওয়াইল্ড গার্ডেন নার্সারিতে।
খাগড়াছড়িতে এবারই প্রথমবারের মতো চাষ হলো নেদারল্যান্ডের ফুল লিলিয়ামের। পরীক্ষামূলকভাবে এই ফুল চাষে এরই মধ্যে সাফল্য এসেছে। কমলা রঙের এশিয়াটিক লিলিয়াম চাষে সাফল্য পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। রোপণ করা ২০০ গাছে ফুল ধরেছে।
খাগড়াছড়ির মাটি ও আবহাওয়া লিলিয়াম চাষের উপযোগী। রোপণের মাত্র দেড় মাসের মধ্যে ফুল ফুটেছে বলে জানিয়েছেন লিলিয়াম চাষের উদ্যোক্তা ও পরিকল্পনাকারী সাথোয়াই মারমা।
উদ্যোক্তা সাথোয়াই মারমা বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষেরা যাতে এই ফুল চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে সেজন্য এটি পরীক্ষামূলকভাবে চাষাবাদ করা হয়েছে। পাহাড়ের মাটিতে এটি চাষ হয়েছে এবং ফুল ফুটেছে। লিলিয়াম চাষের উপযোগিতা সফলভাবে পরীক্ষা করেছি। কন্দ রোপণের মাত্র ৪৫ দিনের মধ্যে ফুল ফুটেছে। ২০ অক্টোবর কন্দ রোপণ করা হয়েছিল। এখন সবগুলো গাছ ফুলে ফুলে রঙিন হয়ে উঠেছে। বাজারে প্রতিটি লিলিয়াম ফুলের স্টিক বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।’
লিলিয়ামের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। স্থানীয় ফুলপ্রেমীদের কয়েকজন বলেন, ‘প্রথমবার ফুলটি দেখেছি। খুব সুন্দর, ঘ্রাণও দারুণ। মানুষ শোভাবর্ধনের জন্য এটি নিয়ে যায়। দামও বেশ ভালো। আগে বিভিন্ন নার্সারিতে দেখতাম। এখন পাহাড়ের মাটিতে চাষ হচ্ছে। আশা করি এটি প্রচুর চাষ করা হবে।’
খাগড়াছড়িতে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অংচিংহ্লা মারমা জানান, লিলিয়ামের চাষের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠী লাভবান হবে। পাহাড়ি এলাকাতে লিলিয়ামের চাষ এটা খুব পজিটিভ বিষয়। এখানকার চাষীরা লিলিয়াম চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে এটির চাষাবাদ হয়নি। প্রথমবারেই ফুলটি পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিয়েছে। এটির চাষ বাড়লে লিলিয়ামের আমদানি নির্ভরতা অনেকটা কমে আসবে, সমৃদ্ধ হবে স্থানীয় কৃষি অর্থনীতি।