রমজানে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে রাজি ইসরায়েল

পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবের (পাসওভার নামে পরিচিত) সময় ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মার্কিন প্রস্তাবে সম্মতি রয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। খবর আল জাজিরার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ সাময়িক যুদ্ধবিরতির এ প্রস্তাব দিয়েছেন।

শনিবার (১ মার্চ) থেকে গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। আর এ বছর ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসব শুরু হবে আগামী ১২ এপ্রিল, চলবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত।

এর আগে, গত ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনের গাজায় প্রথম ধাপে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই সময়ের মধ্যে ২৫ জন জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ৮ জন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ হস্তান্তর করে হামাস। এর বিনিময়ে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল।

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। এর পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মার্কিন প্রস্তাবে সায় থাকার কথা জানানো হলো। এদিকে চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির ১৬তম দিন থেকে দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতির আলোচনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে আলোচনার জন্য প্রতিনিধিদল পাঠাতে বিলম্ব করে ইসরায়েল। শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল গত বৃহস্পতিবার মিসরের কায়রোয় নিজেদের প্রতিনিধিদল পাঠায়।

জানা গেছে, ইসরায়েল দ্বিতীয় ধাপের যুদ্ধবিরতি নিয়ে আগ্রহী নয়। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আলোচনার জন্য কায়রো এসেছে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল। প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করছে হামাস। তারা যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময়ের মূল চুক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার ওপর জোর দিচ্ছে।

এদিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ৪০০ জনে পৌঁছেছে।