
সারাদেশে একযোগে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে এ পরীক্ষা শুরু হয়েছে শেষ হবে দুপুর ১টায়।
১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী।
তাদের মধ্যে ছয় লাখ ১৮ হাজার ১৫ জন ছাত্র এবং ছয় লাখ ৩৩ হাজার ৯৬ জন ছাত্রী। দেশের দুই হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রথম দিনে সকাল ১০টা থেকে সাধারণ নয়টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মাদরাসা বোর্ডের অধীন আলিমে কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেওয়ায় কেন্দ্রে সবার জন্য মাস্ক বাধ্যতামূলক করেছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী দুই লাখ ৯১ হাজার ২৪১ জন, রাজশাহীতে এক লাখ ৩৩ হাজার ২৪২ জন, কুমিল্লায় এক লাখ এক হাজার ৭৫০ জন, যশোরে এক লাখ ১৬ হাজার ৩১৭, চট্টগ্রামে এক লাখ ৩৫ জন, বরিশালে ৬১ হাজার ২৫, সিলেটে ৬৯ হাজার ৬৮৩, দিনাজপুরে এক লাখ ৩ হাজার ৮৩২, ময়মনসিংহে ৭৮ হাজার ২৭৩ জন।
মাদরাসা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষার্থী ৮৬ হাজার ১০২ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ নয় হাজার ৬১১ জন।
চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গতবারের চেয়ে ৮১ হাজার ৮৮২ জন শিক্ষার্থী কমেছে।
করোনার মধ্যে পরীক্ষার কেন্দ্রে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। পরীক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিটি কেন্দ্রে মেডিকেল টিম সক্রিয় রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও কেন্দ্রের সামনে যেন জটলা না থাকে, তা নিয়ন্ত্রণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেন্দ্রের অভ্যন্তর ও আশপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং পরীক্ষা শুরুর আগে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।