
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষে অবশেষে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দুই দেশের নেতাদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন—দুই দেশই “তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি” এবং “শান্তির আলোচনায়” সম্মত হয়েছে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে স্কটল্যান্ডের ট্রাম্প টার্নবেরি গলফ রিসোর্টে ব্যক্তিগত সফরের সময় এই ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরে নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।
কী বললেন ট্রাম্প?
ট্রাম্প লিখেছেন—
“আমি থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার নেতাদের সঙ্গে ফলপ্রসূ ফোনালাপ করেছি। উভয় পক্ষই যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনায় রাজি হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা খুব শিগগিরই শান্তির দিকে বড় পদক্ষেপ দেখতে পাব।”
থাই সরকারের প্রতিক্রিয়া
থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই জানিয়েছেন,
“আমরা নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একমত হয়েছি। তবে কাম্বোডিয়ার পক্ষ থেকে আন্তরিক ইচ্ছা দেখতে চাই।”
সংঘর্ষের পটভূমি
গত ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এই সীমান্ত সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন নিহত এবং হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। দুই দেশই একে অপরকে সংঘর্ষের জন্য দায়ী করছে।
থাই সেনাবাহিনীর দাবি, কাম্বোডিয়ার সামরিক ড্রোন সীমান্তে নজরদারি চালালে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিপরীতে কাম্বোডিয়া বলছে, থাই সেনারা একটি ঐতিহাসিক খেমার-হিন্দু মন্দির এলাকায় চুক্তি লঙ্ঘন করে প্রবেশ করেছিল।
উল্লেখ্য, এই সীমান্ত বিরোধের শিকড় রয়েছে ফরাসি ঔপনিবেশিক আমলে করা সীমান্ত নির্ধারণের মধ্যে, যা এখনও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার অন্যতম উৎস।
বাণিজ্য আলোচনায় শর্ত
ট্রাম্প বলেন,
“যুদ্ধবিরতির আগে বাণিজ্য চুক্তি সম্ভব নয়। তবে একবার শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে, আমরা দ্রুতই দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তিতে যাব।”
আগামী ১ আগস্ট থেকে থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়া থেকে আমদানি করা পণ্যে ৩৬% আমদানি শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যদি যুদ্ধবিরতি না হয় এবং আলোচনায় অগ্রগতি না ঘটে, তবে এই শুল্ক কার্যকর হবে।